মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান (মিরাজ) ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর থানার সাতুরিয়া গ্রামে (শেরে বাংলা‘র জন্মস্থান) জন্মগ্রহণ করেন। বাবা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একজন গর্বিত সদস্য হওয়ায় তার শৈশব ও কৈশোর কাটে বিভিন্ন সেনানিবাসের পরিবেশে। ২০০৫ সালে শেরে বাংলার মায়ের নামে প্রতিষ্ঠিত ’সাতুরিয়া মেহেরুন্নেছা মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়’ থেকে বাণিজ্য বিভাগ থেকে কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হন। তিনি স্কাউটস, রোভার, বিএনসিসি, কম্পিউটারসহ বাংলাদেশ আনসার বাহিনীর নিরস্ত্র প্রশিক্ষণ নিয়ে বিভিন্ন সমাজ সেবামূলক কাজে অংশগ্রহণ করেন। ২০১১ সালে চট্টগ্রাম সরকারী কমার্স কলেজ থেকে হিসাব বিজ্ঞানে স্নাতক পাশ করে গার্মেন্টস প্রতিষ্ঠানের মার্চেন্ডাইজার হিসেবে চাকুরী জীবনের সূচনা করেন। এর পাশাপাশি ২০১৩ সালে ’ঢাকা সরকারি বাংলা কলেজ’ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী ও ২০১৫ সালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ ডিগ্রী অর্জন করেন। চাকুরীর পাশাপাশি বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স এন্ড অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএমইএ) থেকে প্যাটার্ন মেকিং এর উপরে কোর্স করেন ও বিভিন্ন প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানে পার্টটাইম শিক্ষক হিসাবে কাজ করেন। ভারতের স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয় (আই এ পি) থেকে ফ্যাশন ডিজাইনিং এ এমবিএ করেন, পরবর্তীতে আমেরিকার এক্সিকিউডিমি ইউনিভার্সিটি থেকে কর্পোরেট লিডারশীপ এর কোর্স করে সার্টিফাইড লিডার হন। বর্তমানে ফরেন ট্রেইনার এর সাথে লিনজেরি প্রডাক্টের কো-ট্রেইনার হিসাবে (ইউ কে) বেজ বাংলাদেশে একটি মাল্টিন্যশনাল গ্রুপে কর্মরত আছেন। বাংলাদেশে তৈরি পোশাকের যখন সারাবিশ্বে জয় জয়কার; যেখানে সবার কাছে দৃশ্যমান বাহারী ডিজাইনের প্রশংসায় প্রজ্জ্বলিত বাংলাদেশী পোশাকের কারিগরি দক্ষতা। ঠিক তখনি তিনি খুঁজে বের করতে চেষ্টা করলেন প্রশংসিত এই সৃষ্টির স্রষ্টা কে বা কারা? অতঃপর তিনি অনুধাবন করলেন ক্যাড/প্যাটার্ন, স্যাম্পল সর্বদা নির্জীব ও অপ্রকাশিত একটি গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ যাদের হাত ধরে অন্যান্য সকল বিভাগ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহযোগিতায় ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পায় এই পোশাক শিল্প। তখন তিনি এই বিভাগে নিজেকেও সমর্পন করেন। বাংলাদেশ তথা বিশ্বের সকল অপ্রকাশিত এই সুনিপুন কারিগরদের বিশ্ব দরবারে উপস্থাপন, পারস্পারিক সহযোগিতা ও রাষ্ট্রীয় অর্থনীতিতে তথা রাষ্ট্র বিনির্মাণে তাদের ভূমিকা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠা করেন বাংলাদেশ ক্যাড ক্যাম এসোসিয়েশন (বিসিসিএ)।